সূরা ফাতেহা ১ বা ৭ বার।
সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত ৩ বা ৭ বা ২১ বা ৪১ বার।
সূরা এখলাস, ফালাক, নাস ৩ বা ৭ বার।
সুরা বাকারার- ১-৫, ১০২, ১৩৭, ২৮৪-২৮৬ নং আয়াত একবার।
সূরা আল ইমরান- ১-৫, ৮৫, ১৭৩-১৭৪ নং আয়াত একবার।
সূরা আল আনাম- ১-৭ নং আয়াত একবার।
সূরা আল আরাফ- ৫৪-৫৬, ১১৭-১১৯ নং আয়াত একবার।
সূরা ইউনুস- ৭৯-৮২, নং আয়াত একবার
সূরা আল ইসরা - ৮২ নং আয়াত একবার
সূরা আল কাহাফ - ৩৯ নং আয়াত একবার
সূরা ত্বহা- ৬৫-৬৯ নং আয়াত একবার
সূরা মুমিনুন- ১১৫-১১৮ নং আয়াত একবার
সূরা ইাসিন- ১-৯ নং আয়াত একবার
সূরা মুমিন- ১-৩ নং আয়াত একবার
সূরা আহকাফ- ২৯-৩২ নং আয়াত একবার
সূরা আর রহমান- ৩৩-৩৫ নং আয়াত একবার
সূরা হাসর- ২১-২৪ নং আয়াত একবার
সূরা মুলক- ১-৪ নং আয়াত একবার
সূরা আল কলম- ৫১-৫২ নং আয়াত একবার
সূরা আল জীন- ১-৯ নং আয়াত একবার
৬. জ্বীনকে ডাকার জন্য নিচের আয়াত গুলো পড়তে হবে যতক্ষন না জীন আসার কোন লক্ষন প্রকাশ না পায়। যেমন: হাত কাঁপা, মাথা চারপাশে ঘুরানো, শরীর বাঁকা করা, কর্কশ বা অন্যভাষা বিরবির করা বা চিৎকার করা বা রাকীকে মারতে চাওয়া বা থামতে বলা ইত্যাদী।
সূরা বাকারার ১৪৮ নং আয়াতর আইনা মা তাকুনু থেকে শেষ পর্যন্ত।
সূরা নমল ৩০-৩১ নং আয়াত।
সূরা আস সফফাতের ১৫৮ নং আয়াতর ওা লাকাদ আলীইমাতি থেকে শেষ পর্যন্ত।
সূরা ইাসিন এর ৩২ নং আাত।
৭. জ্বীনের সাথে কথা বলা।
গুরুত্ব্যপুর্ন এখানে রাকিকে খুব সতর্কতার সাথে রোগীকে পর্যবেক্ষন করার সাথে সাথে জীনের সাথে আচরন বা কথার উপর নির্ভর করে দোা ও তেলাওাত করতে হ এক মুহুর্তের জন্যেও বিচলিত হওার কোন সুযোগ থাকেনা।
শরীরে জ্বীন আসার পর জানতে চাবেন সে কি সর্দার বা প্রধান কিনা যদি না হ তাহলে তাকে বলবেন সর্দারকে ডাকতে এজন্য সূরা বাকারার ১৪৮ নং আাত পুনরা পড়তে থাকবেন। জীন যদি বোবা, অন্ধ ও কানে না শুনে তাহলে তাকে সরানো খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপারে পরিনত হ। যা রাকি ও রোগীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায়।
চালাক যাদুকরেরা বোবা জীনকে পাঠা এর কারন হলো তার কা থেকে কোন তথ্য বের করা সম্ভব হবেনা। এমন হলে আপনি সূরা রাহমানের ১-৫ নং আাত পড়তে থাকবেন। তবে ৪ নং আাতটি বার বার পরবেন এতে সে কথা বলতে পারে যদি না পারে তাহলে আাতুল কুরসী পড়তে থাকুন যতক্ষন না সে পুড়ে মারা যা বা নিজের থেকে পালিে যা।
জীন যদি জেদি বা গোাঁর টাইপের হ কিুই বলবোনা, তুইকে, তুই আমার কিুই করতে পারবিনা, কতজন আসলো গেলো, কি করার আে কর এমন সব কথা বলতে শুরু করে তখন আপনি
সূরা হা-মীম-সেজদাহ এর ২১ নং আাতের মাঝের অংশটুকু কালু আনতা----- শাইইন পর্যন্ত।
সূরা আল ফালাক এর ৪ নং আয়াত।
সূরা আসসফফাত এর ৯২ নং আয়াত।
সূরা তোা হা এর ২৭-২৮ নং আয়াত।
সূরা আয যারিাত এর ২৩ নং আয়াত পড়তে থাকবেন।
জীন যদি চরম উত্তেজিত হ বা আক্রমনাত্বক হে উঠে এবং যাদুকরের বা রোগীর বিষে কোন তথ্য না দিয়ে হুমকি দেয় তখন আপনাকে
সূরা আল ফুরকান এর ৪৫ নং আয়াতর আলাম তার থেকে লা জাআলাহু সাকিনান পর্যন্ত পড়তে হবে।
সূরা আল হাক্বক্বা এর ৩০-৩১ নং আয়াত
সূরা আল আনাম এর ১৩ নং আয়াত পড়তে হবে।
৮. জীন যদি মুসলিম না হ তাহলে তাকে মুসলিম হবার দাওাত দিতে হবে। এর জন্য তাকে বোঝাতে হবে তবে জোড় করা যাবেনা। সূরা যুমারের ৬২-৬৩ নং আয়াত, সূরা বাকারার ২৫৭ নং আয়াত পড়তে হবে। যদি সে মুসলিম হতে চা তাকে কালেমা পড়িে দিতে হবে।
জীন যদি বলে সে ইসলাম সম্পর্কে কিুই জানেনা তখন তাকে সূরা আল ইমরানের ১৯ নং আয়াত, সূরা যারিাতের ৫৬ নং আাত এবং সূরা আল আনামের ১৬২-১৬৩ নং আয়াত পড়ে শোনাতে হবে।
জীন যদি বলে যাদুকরের সাথে তার চুক্তির কারনে সে ইসলাম গ্রহন করতে পারনো তখন সূরা আততওবা এর ১ নং আয়াত পড়তে হবে। এতে চুক্তি ভঙ্গ হে যাবে।
এর পর তাকে কালেমা পড়িে দিতে হবে।
এর পর তাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে তার রং কি সাদা বাদ দিে যদি সে অন্য রং বলে তখন তাকে পুনরা কালেমা পড়াতে হবে আর যদি সে মিথ্যা বলে তখন সূরা আন নিসা ১৪৫ নং আাত পড়তে হবে।
৯. জিনের কাছে যে সকল প্রশ্ন করতে হবে বা যে বিষয় গুলো জানতে হবে। (মনে রাখতে হবে জীনেরা ৯৯% মিথ্যাবাদি) এর পরেও অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে সত্য মিথ্যা বুঝতে পারা যা। আর প্রশ্নগুলো রোগীর অবস্থা ভেদে ভিন্ন হতে পারে। এখানে ধারনা দেবার জন্য উল্লেখ করা হলো। মূল উদ্দেশ্য রোগীর অবস্থা নির্নয়।
ক. রোগীর শরীরে কতজন?
খ. আপনার কাজ কী (উদাঃ বিবাহ নষ্ট করা ইত্যাদি)?
গ. আপনারা সবাই (জ্বিন) এই একটি কাজ করার জন্য পাঠানো হয়েছে। (যেমন বিয়ে নষ্ট করা বা অসুস্থ করা) ?
ঘ. আপনাকে কখন (জ্বিন) পাঠানো হয়েছিলো..?
ঙ. আপনি কোন নির্দিষ্ট সময়ে ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করেছিলেন (যেমন ঋতু¯্রাবের সময় ( তাহলে বুঝতে হবে খবিস জিন, সে যতই নিজেকে মুসলিম দাবী করুক) রাগের সময় ইত্যাদি)..?
চ. আপনি (জ্বিন) কতক্ষণ ধরে এই ব্যক্তির দেহে রয়েছেন..?
ছ. আপনি (জ্বিন) এই ব্যক্তির দেহের মধ্যে কোথায় থাকেন.?
জ. আপনারা সবাই (জ্বিন) ব্যক্তির দেহের ভিতরে কোন অংশে বাস করেন (যেমন, মাথা,হৃদপিন্ড, পা)..?
ঝ. এই মুহুর্তে ব্যক্তির দেহের বাইরে কি জ্বিন আপনাকে দেখছে.?
ঞ. আপনি কি (জ্বিন) যাদুকর নাকি জাদুকরের জ্বিন দ্বারা আপনাকে এটি করতে বাধ্য করা হয়েছিল.?
ট. কতজন যাদুকর মিলে রোগীকে যাদু করেছে একা নাকি একের অধিক..?
ঠ. সে (জীন) তার কাজ ঠিকমত করছে কিনা সেটা দেখার জন্য কি তার পিছনে যাদুকর অন্য জিনকে পাহাড়ায় রেখেছে কিনা..?
দ. কোথায় যাদুর সামগ্রী রাখা আছে সেটা কি পাহাড়া দেয়া রয়েছে (যদি পাহাড়া দেয়া থাকে তাহলে কষ্ট হয় কারন এই জীন যখনি বলে দিবে অমুক জায়গায় আছে তখনি সেই পাহাড়াদার জীন সেটি সরিয়ে দিবে)।
ধ. কিসের মধ্যে যাদু করা হয়েছে, পুতুল, সুই, কাপড়, রক্ত ইত্যাদী।
ন. রোগীর সাথে যারা রয়েছে তারাও কি এই যাদুর দ¦ারা প্রভাবিত করা আছে..?
১০. যাদুর কোথায় আছে তা বের করে নষ্ট করা।
জীনকে বলতে হবে যাদু কোথায় রাখা আছে, রুকিয়াহর পানির বোতলটি তাকে দিতে হবে হবে যেখানে যাদু রয়েছে সেখানে সে স্প্রে করে দিক। আর যদি শরীরে থাকে পেটে থাকলে রোগীকে পানি খাওয়াতে হবে, পায়ে থাকলে পায়ে স্প্রে করতে হবে। আর এই আয়াত গুলো পড়তে হবে।
সূরা ইউনুস আয়াত নং-৮১
সূরা আল হাসর আয়াত নং- ২১
সুরা আল আম্বিয়া আয়াত নং- ৩০
সূরা আনফাল আয়াত নং- ১১
সূরা নহল আয়াত নং- ২৬
সূরা তাওবাহ আয়াত নং-১
১১. এবার জীনকে চলে যেতে হবে।
এখন জীনকে বলতে হবে কত জন রোগীর শরীরে থাকলো আর কতজন চলে যাচ্ছে. যদি বলে ১০০ জন থাকলো ৩০০ চলে যাচ্ছে বা এমন কিছু তাহলে মেনে নিতে হবে কারন একসাথে সবাইকে বের করতে গেলে রোগীর শরীরের ক্ষতি হবে। তখন আবার অন্য কোন দিন রুকিয়াহর করতে হবে।
এখন জীন যদি বলে বলে আমি কোথায় যাবো আমার জানা নেই তাহলে তাকে বলতে হবে তার পাখা আছে কিনা যদি থাকে তাহলে সে মক্কায় চলে যাক পশ্চিম দিকে উরতে থাকুক। তাকে সূরা আর রুম এর ৪৭ নং আয়াত পড়ে শোনাতে হবে।
এখন জীন যদি বলে বলে আমি কোথায় যাবো কি খাবো তখন তাকে সূরা হিজর এর ২১ নং আয়াত শোনাতে হবে।
জীন যদি বলে আমি যাবোনা এখানেই থাকবো কারো ক্ষতি করবো না তখন তাকে সূরা যিলযালের ১-২ নং আয়াত, সুরা ফাতিরের ৩৬-৩৮ নং আয়াত পড়ে শোনাতে হবে ও যেতে বাধ্য করতে হবে।
সব কিছু চেষ্টা করার পরেও সে যদি যেতে না চায় বা না যায় তখন তাকে পুড়িয়ে মারতে হবে বা জবাই করতে হবে। এমনো হতে পারে সে বলবে আমার মুখ সেলাই করা রয়েছে, এমনো হতে পারে সে বলবে আমি বের হলে আমাকে যাদুকর মেরে ফেলবে বা আমার পরিবার যাদুকরের কাছে জিম্মি রয়েছে। এমনো হতে পারে সে রাকিকেই চ্যালেঞ্জ করবে এই সকল বিষয়ের সমাধান এক্সপার্ট লেভেল পর্যায়ের তাই উপযুক্ত শিক্ষকের সহযোগীতা পরামর্শ নিয়ে করতে হবে। এই সকল কাজে মুখস্ত করে চললে হয়না নিজের মেধা, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হয় সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো প্রতিদিনই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়। আমি আবারো সতর্ক করবো কৌতুহলী হয়ে কোন কিছুই করা ভালো নয় যেখানে আপনি এমন একজনের সাথে যুদ্ধ করছেন যাকে আপনি দেখতে পান না এজন্য আপনাকে হতে হবে সুকৌশলী ও বিচক্ষন নয়তো আপনার ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা ৯০%।
ইউটিউব ভিডিও দেখে যারা মরিচ গুড়া, চাকু, পা দিয়ে খেচা, বা রোগীকে মারছেন তাদের রাকি হওয়া বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আমার কাছে মনে হয় এই সকল জীন শয়তানরা রাকির সাথেই খেলছে যা রাকি নিজে বুঝতে পারেনা। জীন মুহুর্তের মধ্যে যাওয়া আসা করতে পারে যখন আপনি মারছেন আর বলছেন এই মার জীনের শরীরে পড়ছে আপনি বোকার জগতে বাস করছেন। মার খেতে খেতে যখন রোগী মারা যায় তখন বলা হয় জীন প্রতিশোধ নিয়ে মেরে ফেলছে তাহলে আপনার মতো রাকির প্রয়োজন নেই আপনি রুকিয়াহ করা ছেড়ে দেন।
জীনদের একটি কৌশল হচ্ছে আপনার মনে অহংকার তৈরি করা যখন দেখবেন সে বলছে যে ওরে বাপরে মরে গেলাম রে, তোর মতো কেউ নারে, তুই অনেক বড় মাপের তোকে আমি পাত্তা দিতে চাইনি, আমাকে ছেড়ে দে আমি আর আসবোনা, মায়ের বাপের চৌদ্দ গুষ্টির কসম, এর সাথে হাতজোড় করা, কান্নাকাটি আছড়া আছড়ি এই সকল কিছুই নাটক রাকির মনে অহংকার তৈরি করে দিয়ে তার পরিশ্রমটাই নষ্ট করে দেয়। ইউটিউবের বেশিরভাগ ভিডিওতে এমনটাই দেখা যায়। সেই রাকিকে দেখতে যতই ধার্মিক মনে হোকনা কেন। এরকম অসংখ্য রয়েছে সব লিখে শেষ করা যাবেনা।
একটি সহজ সুত্র: যেটা নবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম কখনো এমন কিছু করেননি। শুধু দোয়া করেছেন হাত দিয়ে থাপড় দিয়েছেন মুখে বলেছেন আল্লাহর দুশমন বের হয়ে যা। তিনি কখনো জিনদের কাছে বলেননি এই ছেলেকে জিন ধরছে তোমরা দেখ, বা তোমাদের জেলখানায় বন্দি করো বা তোমরা তাকে (জীনকে ) মারো। তিনিতো পারতেন শত্রুরা কি পরিকল্পনা করছে জীনদের মাধ্যমে তা জানতে কিন্তু তিনি তা করেননি। এ থেকেই কি আমরা নির্দেশনা পাইনা..? অথচো এখনতো কত কথা ইউটিউবে প্রচার হয়। আমি জেলখানা তৈরি করছি, এরা সকলেই আমার বন্ধু, আমাকে চেনও..? ইত্যাদী ইত্যাদী। ভালো মন্দ বাছাই করতে হলে কোরআন ও হাদিসের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন আমিন।