এক নজর

15/recent/ticker-posts

Advertisement

আমার চিকিৎসা পদ্ধতি


আমারা চিকিৎসা পদ্ধতি




আমার পদ্ধতিতে রোগীর নাম, রোগীর মায়ের নাম এর প্রয়োজন হয়না আর না প্রয়োজন হয় অদ্ভুদ সব উপকরনের। যেমন: নিদৃষ্ট রংয়ের পশু প্রাণী, জায়গার মাটি বা পানি।  অথবা নিদৃষ্ট কোন বাধা নিষেধ। যেমন: এতোদিন অন্ধকার ঘরে থাকতে হবে বা কারো সাথে কথা বলা যাবেনা বা এতোদিন গোসল করা বা হাত পায়ের নখ কাটা যাবেনা ইত্যাদী। অথবা এমন কিছু যার জন্য চিকিৎসা নিতে আগত ব্যাক্তি বলতে বাধ্য হয় যে, এইসবতো আমার পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব না, যা করার আপনি করেন খরচ আমি দিয়ে দিবো। এরকম আরো অসংক্ষ্য। 

আমার চিকিৎসা পদ্ধতি খুবই সহজ  ও সাধারন। 

প্রথমে রোগীর সমস্যার কথা শোনা হয়। তার প্রেক্ষিতে কিছু প্রশ্ন করি যা এই ব্লগে রোগীর জন্য প্রশ্নতে ক্লিক করলে পাবেন। এর পর অনুমান করা হয় এটা জ্বীন যাদু বদনজর নাকি শারিরিক নাকি মানসিক সমস্যা। শারিরিক হলে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করতে বলি। 

মানসিক হলে রুকিয়াহ করি নিশ্চিত হবার জন্য যে এটা সত্যি মানসিক নাকি জ্বীনের কারনে মানসিক রোগীতে পরিনত। জ্বীনের জন্য হলে রুকিয়াহ করি মানসিক হলে ডাক্তারের কাছে যেতে বলি। 

বাকি থাকলো জ্বীন ও যাদু এটাও নিশ্চিত হবার জন্য জ্বীন ও যাদুর রুকিয়াহ করা হয়। রুকিয়াহ চলাকালীন রোগীর মধ্যে বেশ কিছু লক্ষন প্রকাশ পায় এই লক্ষনের উপর নির্ভর করে বোঝা যায় জ্বীন না যাদু নাকি বদনজর। 

আইডেন্টিফাই হয়ে গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা পত্র দিয়ে দেই। যার মধ্যে থাকে কিছু দোয়া ও নিয়ম কানুন যা রোগীকে নিজেই করতে হয়। এজন্য এই রুকিয়াহ পদ্ধতিতে সময় লাগে তবে আল্লাহ সুস্থ করলে আর দ্বিতীয়বার দেখা করার প্রয়োজন হয়না। 

ইউটিউবের অনেক ভিডিও দেখে হাসি পায়। একজন রোগীকে দিয়ে কিভাবে নিজের প্রচারণা চালানো হচেছ। ভিডিওতে বলা হয় কোন খরচ নেইনা অথচ ফোন করলে আগে একহাজার বিকাশ করেন। আশ্চর্য না হয়ে পারিনা। সুস্থ করে দিবো এতো টাকা দিতে হবে। যা নির্ধারন হয় রোগীর আর্থিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে। ( আমি ঢালাও ভাবে সকলকে উদ্দেশ্য করে বলছিনা, যারা এমনটি করেন তাদেরকেই উদ্দেশ্য করে বলছি) এর কারন আমি কিছু কিছু চেনেলে প্রশ্ন করে উত্তরতো পাইনি বরং কমেন্টগুলো ডিলিট করে দিয়েছে কেউ কেউ গালিও দিয়েছে যখন তাদের পদ্ধতিকে শয়তানের কাজ বলি।  

সবচাইতে খারাপ লাগে জ্বীনের চিকিৎসা দেখে বিশেষ করে প্রেমিক জ্বীনের। সেই ভিডিও গুলোতে ঐ রোগীকে একবারই দেখানো হয় কিন্তু বাস্তবে সেই রোগীকে কতবার যে আসতে হয় সেটা আল্লাহ ও সেই রোগী জানে যা ভিডিওতে দেখানো হয়না। যেটা দেখানো হয় সেটা সাময়িক সুস্থতা এর প্রতিক্রিয়া কারো কারো ক্ষেত্রে আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। আপনি প্রচার করেন রোগীর পরিচয় গোপন রেখে করেন তা নয় রোগীর চেহারা, রোগীর লোকজনের চেহারা ফোকাস  করে দেখানো হচ্ছে, মহিলা রোগীর কাপড় ঠিক নেই তাকেও সেইভাবেই দেখানো হচ্ছে। কোথায় বাড়ি কার কার কাছে গেছেন সব। দুভার্গ্য বশত মেয়েরাই জ্বীনের দারা আক্রান্ত হয় বেশি হয় এর কিছু কারনও রয়েছে। 

সময় মত পর্যায়ক্রমে  আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সকলকে এই সকল জ্বীন শয়তান ও মানুষ শয়তানের কাছ থেকে রক্ষা করুন।