তওবার ইস্তেগফারের জন্য
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হ। অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি। অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি।
উচ্চারণঃ রাব্বিগ্ ফিরলী, ওয়া তুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম। দ্বিতীয় বর্ণনয় “রাহীম”-এর বদলে: ‘গাফূর’। অনুবাদঃ হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাওবা কবুলকারী ও ক্ষমাকারী।
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলায়হি। অনুবাদঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবাহ্ করি।
সু সন্তান লাভের দোয়া
রব্বি লা-তার্যানী র্ফাদাঁও অআন্তা খাইরুল্ ওয়ারিছীন্। অর্থাৎ হে আমার পালনকর্তা আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস।
[ সুরা আম্বিয়া ২১:৮৯ ]
রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা জুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাতান, ইন্নাকা সামিউ’দ দুআ’ই (সূরা আল-ইমরান: আয়াত ৩৮)
রব্বি হাব্লি মিনাস সলেহিন অর্থাৎ হে পরওয়ারদিগার! আমাকে একটি সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দাও৷” (সুরা সফফাত ১০০)
রব্বানা-হাবলানা-মিন্ আয্ওয়া-জ্বিনা-অ র্যুরিয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও অজ্ব্’আল্না-লিল্মুত্তাকীনা ইমা-মা
অর্থাৎ “হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর করো এবং আমাদেরকে সংযমীদের আদর্শস্বরূপ করো।” (সুরা ফুরকান:৭৪)
সুতরাং আমরা সন্তান-সন্তুতি কামনায় দুনিয়ার কোনো মানুষের কাছে সন্তান কামনা করব না। কোনো অবৈধ ও অনৈসলামিক উপায় অবলম্বন না করে আল্লাহ ওপর ভরসা করে উক্ত দোআ’টি নিয়মিত পাঠ করি। আল্লাহ আমাদের নেক সন্তান দান করবেন। ইনশাআল্লাহ।
আমরা যা করতে পারি
* আমাদের যাদের সন্তান নেই, তাদের সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। আল্লাহ চাইলে যেকোনো বয়সে সন্তান দিতে পারেন।
* শুধু সন্তান চাইলেই হবে না, আল্লাহর কাছে নেকসন্তান কামনা করতে হবে।
* সন্তান পাওয়ার আশায় কোনো মাজার, কবর, ফকির-দরবেশ, তাবিজ গ্রহণ কিংবা বদকারের কাছে যাওয়া যাবে না এবং অবৈধ উপায় গ্রহণ করা যাবে না।
* আল্লাহ সন্তান দান করলে শোকরিয়া আদায় করে সুন্দর নাম রাখতে হবে।
* সন্তানকে দ্বীন-ইসলাম শিক্ষা দিতে হবে।
আল্লাহর নিকট হেদায়েত লাভের দুআ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস আলুকাল হুদা ওয়াত-তুকা ওয়াল আ’ফাফা ওয়াল গিনা। অর্থ: “হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে সুপথ, আল্লাহ ভীতি, চরিত্রের নির্মলতা ও অভাব মুক্তির প্রার্থনা করছি।” (সুনানে তিরমিযী, হাদিসটি সহিহ)
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আলহিমনী রুশদী, ওয়া আয়িজনী মিন শাররি নাফসী। অর্থ: “হে আল্লাহ, আমাকে হেদায়েত দান করো এবং আমার নফসের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করো।”
উচ্চারণ: রাব্বি আ’য়িননী ওয়ালা তু’য়িন আ’লাইয়া। ওয়ানসুরনি ওয়ালা তানসুর আ’লাইয়া। ওয়ামকুর লী ওয়ালা তামকুর আ’লাইয়া, ওয়াহদিনী ওয়া ইসসিরিল হুদা লী। অর্থ: ‘‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না। আমাকে সহযোগিতা করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সহযোগিতা করো না। আমার জন্য কৌশল এঁটো, আমার বিরুদ্ধে কৌশল এঁটো না। আমাকে হেদায়েত দান করো, আমার জন্য হেদায়েতের পথ সহজতর করো এবং যে ব্যক্তি আমার উপর অত্যাচার ও সীমা লঙ্ঘন করে তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করো
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাহদিনী ওয়া সাদ্দিদনী, আল্লাহুম্মা ইন্নী আস-আলুকাল হুদা ওয়াস সাদাদ।অর্থ: “হে আল্লাহ, আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত কর। হে আল্লাহ! তোমার নিকট হেদায়েত ও সঠিক পথ কামনা করছি।”
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি ওয়াজ’আলনী হাদিয়াম মাহদিয়া। অর্থ: “হে আল্লাহ, আমাকে স্থির রাখুন ও হিদায়েত কারী ও হিদায়েত প্রাপ্ত বানান ”
উচ্চারণ: রব্বানা-লা-তুযিগ্ কুলূবানা- বা’দা ইয্ হাদাইতানা-অহাবলানা-মিল্ লাদুনকা রহমাহ , ইন্নাকা আন্তাল্ ওয়াহহা-ব। অর্থ: “হে আমাদের রব, আপনি হিদায়েত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন।”
উচ্চারণ: “ইয়া মুসাররিফাল কুলুব সাররিফ কুলুবানা আলা ত্ব-আতিক।” অর্থ: “হে হৃদয়সমূহের পরিবর্তনকারী, আমাদের হৃদয়গুলোকে আপনার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দিন।” (সহিহ মুসলিম)
উচ্চারণ: ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুব, সাব্বিত কলবি আ’লা দীনিক।
অর্থ: “হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর সুদৃঢ় করে দাও।”
দুশ্চিন্তা বা পেরেশানী দূর করার গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় দুআ ও আমল
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আব্দুকা অবনু আব্দিকা অবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়য়াদিকা, মা-দ্বিন ফিইয়্যা হুকমুকা, আদলুন ফিইয়্যা ক্বাদ্বা-উকা, আসআলুকা বিকুল্লিস্মিন হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহী নাফসাকা আউ আনযালতাহূ ফী কিতাবিকা, আউ আল্লামতাহূ আহাদাম মিন খালক্বিকা, আও ইস্তা’সারতা বিহী ফী ইলমিল গাইবি ইন্দাক; আন তাজআলাল ক্বুরআনা রাবীআ ক্বালবী অনূরা সাদরী অজিলাআ হুযনী অযাহাবা হাম্মী। অর্থ: “হে আল্লাহ! নি:সন্দেহে আমি তোমার দাস, তোমার দাসের পুত্র ও তোমার দাসীর পুত্র আমার ললাটের কেশগুচ্ছ তোমার হাতে। তোমার বিচার আমার জীবনে বহাল। আমার ব্যাপারে তোমার ফয়সালা ন্যায়সঙ্গত। আমি তোমার নিকট তোমার সেই সকল নামের অসীলায় প্রার্থনা করছি-যে নাম তুমি নিজেই নিজের জন্য নির্ধারণ করেছো, অথবা তুমি তোমার কিতাবে অবতীর্ণ করেছ অথবা তোমার সৃষ্টির মধ্যে কাউকে তা শিখিয়েছ অথবা তুমি তোমার অদৃশ্য জ্ঞানে নিজের নিকট গোপন রেখেছ, তুমি কুর’আনকে আমার হৃদয়ে প্রশান্তি দায়াক করে দাও, আমার বক্ষের জ্যোতি করে দাও এবং আমার দুশ্চিন্তা মুক্তির ও আমার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিদূরিত হওয়ার কারণ বানিয়ে দাও”।
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ‘ঊযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল ‘আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দালা‘ইদ দ্বাইনে ওয়া গালাবাতির রিজা-লি। অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ যলিমীন। অর্থ: “হে আল্লাহ ! তুমি ছাড়া প্রকৃত কোন মাবুদ নাই, তুমি পবিত্র, মহান। আর আমি তো জালিমদের অন্তর্ভুক্ত।” (সুরা আম্বিয়া: ৮৭)
রোগীকে রুকিয়া বা ঝাড়ফুঁক করার দুটি গুরুত্বপূর্ণ দুআ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আরক্বীকা মিন কুল্লি শাইয়িন ইউযীকা মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও আয়নিন হাসিদিন হু ইয়াশফীকা বিসমিল্লাহি আরক্বীকা। ”
অর্থ: “আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাঁড়ফুক করছি, কষ্টদায়ক সকল কিছুর ক্ষতি হতে, যে কোনো মানুষ বা বদনযর অথবা হিংসুকের হিংসার নজর হতে। আল্লাহ তোমাকে রোগমুক্ত করুন, আমি তোমাকে আল্লাহর নামে ঝাঁড়ফুক করছি।”
উচ্চারণ: আঊযুকি বিকালিমা তিল্লাহিত তাম্মাহ মিন কুললি শয়ত্বানিন ওয়া হাম্মাহ। ওয়া মিন কুলি আইনিন লাম্মাহ।
অর্থ: “আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় সকল শয়তান ও বিষাক্ত জীব-জন্তু থেকে ও যাবতীয় ক্ষতিকর চোখ (বদনজর) হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” এ দুটি দুআ পড়ে রোগীর শরীরে সরাসরি ফুঁ দিতে হবে।
এরকম আরো শত শত দোয়ার জন্য এই লিংক ভিজিট করুন।
দোয়া ও যিকির হিসনুল মুসলিম অনলাইন লিংক ভিজিট করুন।
সকল প্রকার তাফসীর হাদিস এর জন্য এই লিংক ভিজিট করুন।