এক নজর

15/recent/ticker-posts

Advertisement

রুকিয়াহ কি এবং কেন প্রয়োজন


রুকিয়াহ কি এবং কেন প্রয়োজন, জ্বীন-যাদু-বদনজর এর রুকিয়াহ


সহজ বোধগম্য ভাষায় বললে ব্যবহারিক অর্থে রুকইয়াহ মানে ঝাঁড়ফূক বোঝানো হয়। ইসলামী শরীয়তসম্মত ঝাড়-ফুঁক করাকে আরবীতে রুকইয়াহ বলা হয়। অর্থাৎ, যে আয়াত ও জিকিরসমূহ দ্বারা আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা হয় এবং আরোগ্যের জন্য রোগীকে তার দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা হয়। শরীয়ার পরিভাষায় কোন ব্যাক্তি যখন কুরআনের কোন আয়াত, দুয়া বা আল্লাহর কোন নাম বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে যেমন: নিজের বা অন্যকারো সুস্থতা জন্য একমাত্র আল্লাহর সাহায্য চেয়ে পাঠ করে তাকে রুকিয়াহ বলা হয়। আর যিনি রুকিয়াহ করেন তাকে রাক্বি বলে। রাক্বিকে আলেম হতে হবে এমন কোন শর্ত নেই শুধু রুকিয়াহর যে শর্তগুলো মানা বাধ্যতামুলক তা মানলেই চলে। 

রুকিয়াহর স্তর তিনটি 

০১। সর্বত্তম ও সুন্নাত রুকিয়াহ: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জিবরীল আঃ অথবা সাহাবা কিরাম রাঃ যেসব দুয়া এবং আয়াত দ্বারা রুকিয়াহ করেছেন। 

০২। উত্তম রুকিয়াহ: কুরআনুল করিমের যে সকল আয়াত আক্রান্ত ব্যাক্তির সমস্যার সাথে মিলে যায় সেই সকল আয়াত । যেমন: জাদু গ্রস্থ ব্যাক্তির জন্য সূরা আরাফ: ১১৭-১২২, সুরা ইউনুস: ৮১-৮২, সূরা ত্বহা: ৬৯ নম্বর আয়াত।

 ০৩। বৈধ রুকিয়াহ: এমন জিকির আজকার ও দোআসমূহ যার দ্বারা এমন ঝাড়-ফুঁক যা কোন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয় তবে কুরআন-সুন্নাহর বিপরীতও নয়।

আমাদের সর্বদাই মনে রাখতে হবে আল্লাহ ছাড়া ক্ষতিকে অপসারণ করার আর কেউ নেই

আল্লাহ বলেন: আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। 
সূরা: ১৭ বনী ইসরাঈল: আয়াত নং: ৮২

যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন, যিনি আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন, যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন। যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন। আমি আশা করি তিনিই বিচারের দিনে আমার ক্রটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন। 
সূরা: ২৬, শু'আরা ৭৮-৮২
     
হাদিস থেকে জানা যায়:
        
তোমরা চিকিৎসা করো হে আল্লাহর বান্দাগণ! কেননা,আল্লাহ তাআলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেন নি যার ঔষধ সৃষ্টি করেন নি। শুধুমাত্র একটি রোগ ব্যতীত। আর তা হচ্ছে, বয়োঃ বৃদ্ধতা। মুসলিম, হাদীস নং-২২০৪