আমাদের অদৃশ্য শত্রু



আরবীতে জ্বীন বলতে গোপনীয় বা অদৃশ্য কিছুকে বোঝায়। জ্বীন সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন ধারনা বা বিশ্বাস রয়েছে। এটা নির্ভর করে তাদের সংস্কৃতি, ব্যক্তিগত স্বভাব বা শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর। আবার কিছু কিছু রয়েছে কাল্পনিক গল্প থেকে যা ঠক প্রতারক যাদুকররা  প্রতারনা করার জন্য বানিয়ে থাকে।

জ্বীন জাতি মানুষের ন্যায় আল্লাহ সৃষ্ট অপর আরেকটি জাতি, যারা পৃথিবীতে মানব আগমনের পূর্ব থেকেই ছিল এবং এখনো তাদের অস্তিত্ব রয়েছে। সাধারণত মানুষের চোখে তারা দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়। কিন্তু, জ্বীনরা মানুষদেরকে দেখতে পায়। তাদের মধ্যেও মুসলিম এবং কাফির ভেদ রয়েছে।  

যেমন আল্লাহ বলেন

স্মরণ কর, যখন জ্বিনদের একটি দলকে তোমার প্রতি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম যারা কুরআন শুনছিল। তারা যখন সে স্থানে উপস্থিত হল, তখন তারা পরস্পরে বলল- চুপ করে শুন। পড়া যখন শেষ হল তখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে। সূরা ৪৬ আল-আহকাফ আয়াত নং: ২৯

বল, ‘আমার প্রতি ওহী করা হয়েছে যে, নিশ্চয় জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শুনেছে। অতঃপর বলেছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি সূরা: ৭২ জ্বীন আয়াত নং: ০১

জ্বীনদের তৈরি করা হয়েছে ধোঁয়াবিহীন আগুন হতে। “আর তিনি জ্বীনকে সৃষ্টি করেছেন আগুনের শিখা দিয়ে।” (সূরা আর-রহমান, ১৫)

আরেকটি আয়াতে বলা হয়েছে, “আর আমি এর আগে জ্বীন সৃষ্টি করেছি প্রখর আগুন দিয়ে।”(সূরা আল-হিজর, ২৭)

জ্বীনের গঠন সম্পর্কে হাদীসেও বলা হয়েছে। যেমন: আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) বলেছেন- “ফেরেশতারা আলোর তৈরী, জ্বীনরা আগুনের স্ফুলিংগ থেকে তৈরী এবং আদমকে যেভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে তার বর্ণনা (মাটি থেকে) পবিত্র কুরআনে রয়েছে।”

জ্বীন জাতি মানুষের মত পুরুষ ও স্ত্রী জাতিতে বিভক্ত। একটি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে-  “যে এই আয়াত (আয়াতুল কুরসী) পড়বে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য একজন প্রহরী নিযুক্ত করে দিবেন এবং কোন পুরুষ এবং নারী জ্বীন-শয়তান তার কাছে আসতে পারবে না।” গঠন অনুযায়ী জ্বীন তিন ধরনের হয়ে থাকে। রাসুল(সঃ) বলেছেন-  “তিন ধরনের জ্বীন আছে- এক প্রকারের জ্বীন পাখার মাধ্যমে বাতাসে ওড়ে, এক প্রকারের জ্বীন সাপ এবং মাকড়শার আকারে থাকে, শেষ প্রকারের জ্বীনরা সাধারনভাবে থাকে এবং চলাচল করে।”  

ইবলিস: এই জ্বীন আদম আঃ কে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিল। 

খানজাব: এই জ্বীন সালাতরত মানুষের মনে নানারকম চিন্তা ঢুকিয়ে নামাজ থেকে অমনোযোগী ও উদাসীন করে তুলে।

ওলহান: এরা হচ্ছে একপ্রকার শয়তান জ্বীন যারা মানুষকে ওযুর সময় ওয়াসওয়াসা দেয়।

ক্বারীন:ক্বারিন অর্থ হচ্ছে সংগী, প্রত্যেক মানুষের সাথেই শয়তান জ্বীন লেগে থাকে, সংগী হিসেবে। এরা সবসময় বান্দার অন্তরে খারাপ চিন্তা ঢুকিয়ে দিয়ে পাপ কাজ করতে উৎসাহিত করে।

মানুষের বসবাসের স্থানে সাধারণত জ্বীন থাকে না। তারা মানুষের পরিত্যক্ত স্থানে থাকতে পছন্দ করে। তাদের অধিকাংশই মানুষের কাছ থেকে দুরে নির্জন এলাকায় বসবাস করে। তবে কিছু প্রজাতির জ্বীন মানুষের সাথে লোকালয়ে থাকে, যেমনঃ ক্বারীন জ্বীন। হাদিস থেকে জানা যায়, কিছু জ্বীনেরা নোংরা ও গন্ধময় জায়গায় থাকতে পছন্দ করে, যেখানে মানুষরা ময়লা এবং খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ ফেলে রাখে। পায়খানা এবং প্রস্রাব করার জায়গাগুলোতে জ্বীনদের অবাধ বিচরণ। 

জ্বীনের খাবার সম্পর্কে বলা হয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল(সঃ) বলেছেন- “জ্বীনদের একজন আমাকে একদিন ডাকলে আমি তাঁর সাথে যাই। সেখানে আরো জ্বীন ছিল এবং আমি তাদের জন্য পবিত্র কুরআন পাঠ করি। তারা তাদের খাবারের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আমি বলি- আল্লাহর নাম পড়ে খাওয়া হয়েছে এমন যে কোন হাড় তোমাদের সামনে এলে তা মাংসে পরিনত হয়ে যাবে। একইভাবে গোবর তোমাদের পশুদের খাবার হয়ে যাবে। এজন্য হাড ও গোবড় দিয়ে ইস্তেন্জা করতে আমাদের নিষেধ করা হয়েছে। 

মানুষ ছাড়াও অন্যান্য কিছু প্রাণী জ্বীনের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারে। হাদীসে বলা হয়েছে, আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল(সঃ) বলেছেন: “যখন তোমরা গাধার চিত্কার শুনতে পাও, তখন আল্লাহর কাছে শয়তানের থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর. কারণ শয়তানকে দেখতে পাবার কারণেই তারা চিত্কার করে।”

জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল(সঃ) বলেছেন-  “যখন রাত নামে (সন্ধ্যার শুরুতে) তোমাদের সন্তানদের ঘরের বাইরে যেতে বারণ কর। কারণ শয়তান এই সময়ে বের হয়। এক ঘণ্টা পার হলে সন্তানদের যেতে দিও এবং আল্লাহর নাম নিয়ে ঘরের দরজাগুলো বন্ধ কর। কারণ শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। তারপর আল্লাহর নাম নিয়ে পানির পাত্রের মুখ বন্ধ কর। এরপরে আল্লাহর নাম নিয়ে খাবারের পাত্রগুলো ঢেকে রাখো। যদি ঢেকে রাখার কিছু না পাওয়া যায়, তবে অন্তত অন্য কিছু উপরে দিয়ে রাখো (কাঠ/বই ইত্যাদি)। এবং রাতে শোবার সময়ে কুপি বাতি নিভিয়ে শুতে যেও।

জ্বীনেরা মানুষের আকার ধারণ করতে পারে এবং মানুষের মত কথা বলতে পারে। মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীর আকারও ধারণ করতে পারে বলে হাদীসে বলা হয়েছে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত দীর্ঘ একটি হাদীসে এক দুষ্ট লোকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রতি রাতে যাকাতের মাল চুরি করতে আসতো। আবু হুরায়রা প্রতি রাতেই তাকে ধরে ফেলতেন। কিন্তু লোকটি বিভিন্ন অনুরোধ করে মাফ নিয়ে চলে যেত এবং পরের রাতে আবার চুরি করতে আসতো। পরপর তিন রাতে সেই মানুষটিকে ধরার পরে রাসুল(সঃ) কে ঘটনা অবহিত করলে তিনি আবু হুরায়রা কে জিজ্ঞেস করেন, “ওহে আবু হুরায়রা, তুমি কি জানো তুমি এই তিন রাতে কার সাথে কথা বলেছ? ওটা শয়তান ছিল।”

বদরের যুদ্ধের সময় ইবলিশ শয়তান মক্কার কুরাইশদের কাছে বনু কিনানাহর সর্দার সূরাক্বা ইবনে যুশাম এর আকার ধরে গিয়ে তাদেরকে রাসুল(সঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্ররোচনা দিয়েছিল। 

আবু সাইদ খুদরী থেকে বর্ণিত, রাসুল(সঃ) বলেছেন- মদিনার কিছু সংখ্যক জ্বীন মুসলমান হয়েছে। এদেরকে (প্রাণী হিসেবে) যদি কেউ দেখো, তাহলে তিনবার সাবধান করবে। তারপরেও আবার এলে সেই প্রাণীকে হত্যা করবে।

যে সকল কারনে জ্বীন মানুষের উপরে চড়াও হয়। কোন ছেলে বা মেয়ের প্রতি তাদের প্রেম ভালবাসা জন্মালে। কোন মানুষ যদি তাদের উপর অন্যায় অত্যাচার করে যেমন: তাদের গর্তে প্রসাব করা, গায়ে গরম পানি পরলে, তাদের খাবার বা বাসস্থান নষ্ট বা নোংড়া করলে। এছাড়াও মানুষের ক্ষতি করার উদ্দেশ্য থাকলে সেরকম সুযোগ পেলে যেমন: অতিরিক্ত রাগ, অতিরিক্ত ভয়, যৌন চাহিদা লোপ পেলে, অতিরিক্ত উদাশিন বা হতাশাগ্রস্থ হলে, নোংড়া বা অপবিত্র বেশি থাকলে।  

শয়তানের পরিচয়

মানুষ সৃষ্টির সূচনালগ্নে প্রথম যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছিলো তার নাম অহংকার। এই অহংকার করেছিল আজাজিল নামে একজন জ্বিন সে ছিলো ফেরেস্তাদের সর্দার তার আনুগত্য ও ইবাদতের কারনে। আদম আঃ কে সিজদা করতে অশ্বিকার করায় সে ইবলিস নামভুক্ত হয়। ইবলিস শব্দের অর্থ অহংকারী। অহংকারী, দুষ্ট. প্রতারক, চক্রান্তকারী, ব্যার্থ, বিরুদ্ধাচারি, বিদ্রোহী, কুমন্ত্রনাদানকারী ও অন্ধকারের প্রতিকরুপে ইবলিসকে পাওয়া যায়। । এই ইবিলস বা শয়তানের  লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল করার জন্য মানুষের মধ্য থেকে বা জ্বিনের মধ্য থেকে যারাই তার সাহায্যকারী হয়েছে তাকেই শয়তান বলা হয়। মানুষদের মধ্য থেকে হলে মানুষ শয়তান আর জ্বিনদের মধ্য থেকে হলে জ্বিন শয়তান বলে থাকি। পবিত্র কোরআনে শয়তান নামটি এসেছে ৫২ বার এবং ইবলিস ০৯ বার। এই ইবলিস নিজের পক্ষে সাফাই করার জন্য যুক্তি পেশ করেছিল সে বলেছিলো আমি আগুনের তৈরি আর আদম মাটি থেকে মাটির চাইতে আগুন উত্তম তাই আমি তাকে সেজদা করবোনা। এই যুক্তির মাধ্যমে ইতিহাসে সেই প্রথম যুক্তিবাদি হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছে।  আমিত¦জ্ঞান বা নিজেকে ক্ষমতাবান ও উৎকৃষ্ট মনে করাই অহংকার।


জ্বীন আক্রান্তের লক্ষন

শরীর গরম হলে আমরা বুঝে নেই আমাদের জ্বর হয়েছে। নাক দিয়ে পানি পড়লে ধরে নেই আমাদের সর্দি হয়েছে। এগুলো হলো লক্ষন। তেমনি জ্বীন গ্রস্থ রোগীর কিছু লক্ষন রয়েছে। তাই বলে সবসময় এই লক্ষন কাজে দেয়না। যেমন: শুধু শরীর গরম হলেই যে জ্বর হয়েছে তা নয়। বগলের নিচে কাঁচা পেঁয়াজ ছিলে চেপে ধরলেও শরীর গরম হয় যা ১০২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠানো সম্ভব হয়। স্কুল ফাঁকি দিতে বেশ কয়েকবার এমনটি করেছি। কিন্তু সমস্যা হয় সাবান দিয়ে ধুলেও গন্ধ দূর হয়না।  

এমনি করে একটা নির্দিষ্ট লক্ষণ বলে দিলাম আর আপনি ভাবলেন আমার সাথে মিলে গেছে তাহলে আমি আক্রান্ত বিষয়টি এমন নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ নেই আবার আছে। যারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ রয়েছে, তারা আলোচনার মধ্যেমে এগুলো উপলব্ধি করতে পারে, যেমনটি পেঁয়াজ দিয়ে জ্বর নাকি সত্যিকারের জ্বর। সর্ব প্রথম শারীরিক অসুস্থার জন্য আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ডাক্তার আপনাকে দেখার পর যদি কোনো রোগ ধরতে না পারে তখন আপনি তাদের কাছে যান যাঁরা সত্যিকারের কোরআন-হাদিসের জ্ঞান রাখেন এবং এই সকল চিকিৎসা করেন। 

সব ধরনের না হলেও অনেক ব্যাধিই শয়তানের কারনে হয়ে থাকে। যে সকল রোগের মূলে প্রতক্ষ বা পরক্ষভাবে শয়তানের হাত রয়েছে তার মধ্েয কিছু রয়েছে মানসিক যেমন: মৃগী, হিংসা, যাদু।  কিছু রয়েছে দৈহিক। যেমন: প্যারালাইসিস, শ্বেত রোগ, ফোঁড়া, মস্তিষ্ক বিকৃতি, বোবায় ধরা, হিস্টিরিয়া, মৃগি, এইডস ইত্যাদি। বাহ্যিক ভাবে বা বিজ্ঞানের ভাষায় এগুলো রোগ জীবানু বা ভাইরাস সংক্রমনের কারনে মনে হলেও এর পিছনে শয়তানের হাত থাকে।


যেমন পবিত্র কোরআনে আমরা জানতে পারি

স্মরণ করুণ, আমার বান্দা আইয়্যুবের কথা, যখন সে তার পালনকর্তাকে আহবান করে বললঃ শয়তান আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্ট পৌছিয়েছে। সুরা: ৩৮  ছোয়াদ: আয়াত: ৪১

যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। শয়তানরাই মানুষকে সৎপথে বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে। সূরা: ৪৩ আয-যুখরুফ আয়াত: ৩৬-৩৭

অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু লক্ষন উল্লেখ করা হলো যা মুলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। জাগ্রত অবস্থায় ও ঘুমন্ত অবস্থায়।

জাগ্রত অবস্থার লক্ষন হলো: আল্লাহর ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির বিমুখ। কাজ কর্ম কথা-বার্তায় ও চলাফেরায় অস্থির আচরণ। ডাক্তারী কোন কারন ছাড়া প্যারালাইসিস হওয়া। খুব  দ্রুত রেগে যাওয়া বা কোন কারন ছাড়াই কান্না পাওয়া। টয়লেটে দীর্ঘ সময় কাটানো। অনবরত মাথা ব্যাথা ঔষুধেও কাজ না হওয়া। অনিয়মিত ঋতুস্রাব। স্বামী- স্ত্রীর ডাক্তারী কারন ছাড়াই বাচ্চা না হওয়া।


ঘুমন্ত অবস্থার কিছু লক্ষন: নিদ্রাহীনতা, উদ্বিগ্নতা,  ঘুমের সময় কেউ চেপে ধরেছে, নড়াচড়া করতে পারছে না। প্রায়ই এমন হওয়া যাকে আমরা বোবায়ধরা বলে থাকি। ঘুমের মাঝে প্রায়শই চিৎকার করা, গোঙানো, হাসি-কান্না করা।  ঘুমন্ত অবস্থায় হাটাহাটি করা। স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো যায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা  বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা। যেমন: অনেক লম্বা, খুবই খাটো, খুব কালো কুচকুচে। ইত্যাদী।

বিঃ দ্রঃ কারো উপর কোরআন তেলাওয়াত করে দম বা রুকিয়াহ  না করা পর্যন্ত এই সমস্ত লক্ষন দেখে নিশ্চত হওয়া যাবেনা যে তাকে জ্বীনে ধরেছে। মানসিক সমস্যা থাকলেও এই সকল লক্ষন প্রকাশ পায় যা হোমিওপ্যাথি নীতিতে উল্লেখ পাওয়া যায়।