কেউ যদি অন্যায়ভাবে কাউকে গালি দেয়, কষ্ট দেয়, কারও সাথে খারাপ আচরণ করে বা ঝগড়া-ঝাটি করে তাহলে সে তার প্রতি জুলুম করল। আর আখিরাতে জুলুমের পরিণাম খুবই খারাপ।
নিম্নে এ বিষয়টি হাদিসের আলোক তুলে ধরা হল:
আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
▪ নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের দেহ ও আকার-আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।’’
আর এক বর্ণনায় আছে, ‘‘তোমরা পরস্পর সম্পর্ক-ছেদ করো না, একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন হইয়ো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর হিংসা করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও।’’
জুলুমের পরিণাম:
“তোমরা জুলুম থেকে বিরত থাকো। কেননা কিয়ামতের দিন জুলুমের পরণাম হবে খুবই অন্ধকার।”(মুসলিম)
কোন মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা, তার সাথে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হওয়া, গালাগালি করা, খারাপ ব্যবহার করা জায়েয নাই- চাই সে বউ হোক, শ্বশুর হোক, শাশুড়ি হোক, স্বামী হোক, স্ত্রী হোক বা অন্য কেউ হোক। ইসলামের বিধান সকলের জন্য সমান।
মোটকথা শ্বশুর, শাশুড়ি, বউ, স্বামী, স্ত্রী, পিতা, মাতা, সন্তান, ভাই, বোন এবং সাধারণ মানুষ যেই হোক না কেন সকলের জন্য উপরোক্ত বিধান প্রযোজ্য। বউ, শ্বশুর, শাশুড়ি কেউ এই আওতার বাইরে নয়। অত:এব প্রতিটি মুসলিমের জন্যই আল্লাহকে ভয় করা এবং সময় থাকতে নিজেদের চরিত্রকে সংশোধন করা কর্তব্য।
আল্লাহ সকলকে তাওফিক দান করুন। আমীন।