এক নজর

15/recent/ticker-posts

Advertisement

বউ-শাশুড়ির মনোমালিন্য: ইসলামী সমাধান

 

বউ-শাশুড়ির ঝগড়াঝাটি ও মনোমালিন্য: ইসলামী সমাধান



কেউ যদি অন্যায়ভাবে কাউকে গালি দেয়, কষ্ট দেয়, কারও সাথে খারাপ আচরণ করে বা ঝগড়া-ঝাটি করে তাহলে সে তার প্রতি জুলুম করল। আর আখিরাতে জুলুমের পরিণাম খুবই খারাপ।

নিম্নে বিষয়টি হাদিসের আলোক তুলে ধরা হল:

আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:


▪‘‘তোমরা কু ধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাক। কারণ কু ধারণা সব চাইতে বড় মিথ্যা কথা।


অপরের গোপনীয় দোষ খুঁজে বেড়ায়ও না।


গোয়েন্দাগিরি করো না।


একে অপরের সাথে (অসৎ কাজে) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করো না,


পরস্পরে হিংসা করো না,


পরস্পরে বিদ্বেষ পোষণ করো না,


একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন হইয়ো না।



(রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন:)


▪ কোন মুসলমান ভাইকে তুচ্ছ ভাবা একটি মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য যথেষ্ট।


▪ প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত, সম্ভ্রম সম্পদ অপর মুসলমানের উপর হারাম।

▪ নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের দেহ আকার-আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর আমল দেখেন।’’

 

আর এক বর্ণনায় আছে, ‘‘তোমরা পরস্পর সম্পর্ক-ছেদ করো না, একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন হইয়ো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর হিংসা করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও।’’

 

জুলুমের পরিণাম:

ইমাম মুসলিম আবু যার রা. হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ তাআলা হাদিসে কুদসিতে বলেন:

হে আমার বান্দাগণ! আমি জুলুমকে নিজের উপর হারাম করেছি এবং তোমাদের উপরও তা হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা পরস্পর জুলুম করবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন:

তোমরা জুলুম থেকে বিরত থাকো। কেননা কিয়ামতের দিন জুলুমের পরণাম হবে খুবই অন্ধকার।”(মুসলিম)


ইসলাম মানুষকে উত্তম চরিত্র, সুন্দর কথা, নম্র ব্যবহার, বিনয়, ধৈর্য, সহনশীলতা, ক্ষমা, বড়দের প্রতি সম্মান ছোটদের প্রতি স্নেহ-মমতা ইত্যাদি মহৎগুণের প্রশিক্ষণ দেয়।

কোন মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা, তার সাথে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হওয়া, গালাগালি করা, খারাপ ব্যবহার করা জায়েয নাই- চাই সে বউ হোক, শ্বশুর হোক, শাশুড়ি হোক, স্বামী হোক, স্ত্রী হোক বা অন্য কেউ হোক। ইসলামের বিধান সকলের জন্য সমান।

মোটকথা শ্বশুর, শাশুড়ি, বউ, স্বামী, স্ত্রী, পিতা, মাতা, সন্তান, ভাই, বোন এবং সাধারণ মানুষ যেই হোক না কেন সকলের জন্য উপরোক্ত বিধান প্রযোজ্য। বউ, শ্বশুর, শাশুড়ি কেউ এই আওতার বাইরে নয়। অত:এব প্রতিটি মুসলিমের জন্যই আল্লাহকে ভয় করা এবং সময় থাকতে নিজেদের চরিত্রকে সংশোধন করা কর্তব্য।

আল্লাহ সকলকে তাওফিক দান করুন। আমীন।